বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘ফিনজাল’ ভারতের তামিলনাড়ু–পদুচেরি উপকূলে অগ্রসর হচ্ছে। গতকাল শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ দেশটির দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানার কথা ছিল।
ঘূর্ণিঝড়টির সঙ্গে আসা বিপুল মেঘমালা প্রায় ২ হাজার ২০০ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। ফলে রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় গতকাল দুপুর থেকে আকাশ ছিল মেঘলা। উপকূল ছাড়িয়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে রাজধানী ঢাকাতেও।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তাল হয়ে আছে বঙ্গোপসাগর। তবে আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, বাংলাদেশ উপকূলে ফিনজাল আঘাত করার কোনো আশঙ্কা নেই। তবে এর প্রভাবে আজ রোববারও দেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি ঝরতে পারে। এ কারণে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে তামিলনাড়ু উপকূলে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে চেন্নাই বিমানবন্দর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আজ দুপুর পর্যন্ত আকাশ মেঘলাসহ বৃষ্টি চলতে পারে। সেই সঙ্গে বাড়তে পারে শীতের অনুভূতি। আগামী চার–পাঁচ দিন তাপমাত্রা কমে শীত বাড়তে পারে। পঞ্চগড়সহ দেশের উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলের কোনো কোনো এলাকায় তাপমাত্রা নেমে আসতে পারে শৈত্যপ্রবাহের পর্যায়ে।
এরই মধ্যে গতকাল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। তবে রাজধানীর তাপমাত্রা খুব বেশি কমেনি, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আজও দেশের বেশির ভাগ এলাকায় ঝিরিঝিরি বৃষ্টি ও হালকা শীতের অনুভূতি থাকতে পারে। উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলের তাপমাত্রা ধারাবাহিকভাবে কমে শীতের অনুভূতি বেশি থাকতে পারে। আর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন স্থানের তাপমাত্রা নেমে আসতে পারে শৈত্যপ্রবাহের পর্যায়ে।
খুলনা গেজেট/এইচ